শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১:৪৭

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
তিন স্কুলছাত্রকে কাউনিয়া থানা পুলিশের নির্যাতন

তিন স্কুলছাত্রকে কাউনিয়া থানা পুলিশের নির্যাতন

dynamic-sidebar

বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে তিন স্কুলছাত্রকে আটকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে দুইজনকে টহল গাড়িতে আটকে রাখা হয়। এই ঘটনার ঘণ্টা দু’য়েকের মাথায় স্থানীয় এক ছাত্রলীগ নেতা সুপারিশে এক শিক্ষার্থীর পিতা গিয়ে মুচলেকা নিয়ে ছড়িয়ে দেন।

যদিও এই জন্য থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মনিরুল ইসলামকে মোটা অংকের উৎকোচ দিতে হয়েছে। এর আগে ঘটনাঠি ঘটেছে বুধবার বেলা ১১টার দিকে বরিশাল শহরের বেলাতলা খেয়াঘাট এলাকায়। তবে এই বিষয়টি অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম অস্বীকার করছে করেছেন।

কিন্তু ঘটনা প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন- বুধবার সকাল থেকে এএসআই মনিরুল ওই এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। চরমোনাই মাহফিল থেকে আসা মুসুল্লিদের বহনকারী যানবাহনের গন্তব্যে ফেরার ক্ষেত্রে নিয়োজিত করা হয়েছিল।

কিন্তু বেলা ১১টার দিকে বরিশাল টাউন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিন শিক্ষার্থী ওই এলাকায় গেলে তাদেরকে কোন অপরাধ বা অভিযোগ ছাড়াই আটক করেন তিনি আরও বেশ কয়েজন কনস্টেবল নিয়ে মারধর করতে শুরু করেন। এই দৃশ্য দেখে স্থানীয়রা ছুটে এলে ওই তিন শিক্ষার্থীকে চাঁদাবাজির ভেগ অজুহাত তুলে আরও নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে শহীদুল ও ইমন নামে দুইজনকে হাতকড়া পরিয়ে টহল গাড়িতে বসিয়ে তাদের বন্ধু নাদিমকে ছেড়ে দেন।

এই নাদিম তার এলাকা পলাশপুর ফিরে বড় ভাই ছাত্রলীগ নেতা সুজনকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি ওই পুলিশ কর্মকর্তার কাছে আটক দুইজনকে ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনে সুপারিশ রাখেন। ওই সময় এএসআই মনিরুল ফের চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে দুই শিক্ষার্থীদের পিটুনি দেন। ফলে বিষয়টি এক শিক্ষার্থীর বাবাকে অবহিত করেন এই ছাত্রলীগ নেতা।

এই কথোপকথনের একটি রেকডিংও ধারণ রয়েছে ছাত্রলীগ নেতা সুজনের মুঠোফোনে। পরবর্তীতে ওই অভিভাবক গিয়ে উৎকোচ দিয়ে দুই শিক্ষার্থীকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। কিন্তু পুলিশের ভয়ে তিনি বিষয়টি স্বীকার না করলেও ঘটনা প্রত্যক্ষদর্শী অনেকে টাকা লেনদেনের বিষয়টি দেখেছেন। পুলিশের হয়রানির শিকার ওই তিন স্কুলছাত্র জানিয়েছে- চরমোনাই মাহফিল থেকে মুসুল্লিরা ফিরছেন সেই দৃশ্য দেখতে খেয়াঘাটে গিয়েছিল।

কিন্তু সেখানে পৌছানোর আগেই এএসআই মনিরুল ইসলাম তাদের আটক করে রাখেন। ওই সময় স্কুলের আইডি কার্ড দেখানোর পরেও তাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন।

তবে এবার পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলছেন- তাদের আটক করা হয়েছিল। কিন্তু মারধর বা কারও কাছ থেকে উৎকোচ নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়নি।’’

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net